সুশ্বেতা ভট্টাচার্য
কবিরাজি ওষুধ তৈরির জন্য প্রয়োজন ছিল এক চিলতে গেরুয়ার। কিন্তু রবিবার, ভোটের বারুইপুর ও সোনারপুর কার্যত চষে ফেলেও চোখে পড়ল না গেরুয়ার লেশমাত্র। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি দ্রুত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাচ্ছে বিজেপি? রবিবার ভোটের সকাল থেকে সন্ধে, বারুইপুর-সোনারপুরের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে যেন সামনে এল সেই চিত্রই। একই সঙ্গে মিলল বামেদের ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তাও।
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বিজেপির পালে হাওয়া নেই। দ্রুত শূন্যতা পূরণে উঠে আসছে বিধানসভায় কোনও আসন না পাওয়া বাম শিবির, আরও স্পষ্ট করে বললে সিপিএম। আর সেই ছবিই এদিন আরও যেন স্পষ্ট হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর ও রাজপুর-সোনারপুর পুরসভা নির্বাচনে। ক্ষমতায় থাকা তৃণমূলের সঙ্গে বিভিন্ন বুথে টক্কর নিতে দেখা গেল সিপিএম সমর্থকদের। সেখানে গেরুয়া শিবিরের ছিটোফোঁটা দেখাও মিলল না দিনভর।
সোনারপুরের ৮, ২৮, ৩১, ৩৫ নম্বর সহ বেশ কিছু ওয়ার্ডে লড়াইয়ের ময়দানে দেখা গিয়েছে সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের। অন্যদিকে, বারুইপুরের ২, ১২, ১৩ প্রভৃতি কিছু ওয়ার্ডে এবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে সিপিএম। বারুইপুর ও সোনারপুরের এইসব ওয়ার্ডগুলিতে ঘাসফুলের পতাকার সঙ্গে সমানে টক্কর দিয়ে পতপত করে উড়তে দেখা গিয়েছে কাস্তে হাতুড়ি তারা আঁকা লাল পতাকাও। গেরুয়া শিবিরের ক্যাম্প অফিসই যেখানে খুঁজে পাওয়া যায়নি, সেখানে সিপিএমের বুথ ক্যাম্পগুলি নজর কেড়েছে। এলাকার রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, জয় ছিনিয়ে নিতে না পারলেও এবারের পুরভোটে বারুইপুর ও রাজপুর-সোনারপুর তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কে কিছুটা হলেও ধস নামাতে পারে সিপিএম।