Sambad Samakal

Bollywood: “আমার স্বামীর দেখাশোনা করাটা ফুলটাইম চাকরির মতো ছিল… হাঁফিয়ে উঠতাম”, বললেন নীতু

Apr 10, 2022 @ 1:21 am
Bollywood: “আমার স্বামীর দেখাশোনা করাটা ফুলটাইম চাকরির মতো ছিল… হাঁফিয়ে উঠতাম”, বললেন নীতু

সোমনাথ লাহা

ঋষি কাপুরের মৃত্যুশোক কীভাবে সামলে উঠেছেন আর কেন তাঁর দুই সন্তান রণবীর কাপুর ও ঋদ্ধিমা কাপুর সাহানি তাঁকে ‘ব্যস্ত থাকতে’ বলেছিলেন সেই বিষয়ে মুখ খুললেন নীতু কাপুর। সম্প্রতি একটি বিনোদন ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নীতু জানান, ঋষির মৃত্যুর পর তিনি নিজের উপর থেকে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিলেন। তিনি আর‌ও বলেন, “যুগ যুগ জিও’-র শুটিংয়ের আগে আমার আত্মবিশ্বাস তলানিতে পৌঁছে গিয়েছিল। আমার স্বামী মারা গেছেন আর আমি একাই একটা ছবির শুটিং করতে যাচ্ছি। আমি একাই চন্ডীগড়ে গিয়েছিলাম ছবির শুটিং করতে। আমার আত্মবিশ্বাস কিছুই ছিল না। ধীরে ধীরে আমি নিজেকে আজকের জায়গায় পেয়েছি। এখন‌ও আমি নিজেকে তৈরি করে যাচ্ছি। আমার এখন‌ও পুরোপুরিভাবে নিজের উপর একশ শতাংশ বিশ্বাস তৈরি হয়নি, তবে আমি সেই জায়গায় পৌঁছে যাব‌ই।” আমার মনে হয় মনের মধ্যে প্রফুল্ল থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, নয়তো আপনার জীবন শেষ হয়ে যাবে। আপনাকে শক্তিশালী হতে হবে এবং আপনাকে ব্যস্ত থাকতে হবে, এটাই ছিল আমার কাজ শুরু করার অন্যতম মাপকাঠি। আমার সন্তানরা আমাকে বলেছিল, ” তুমি ব্যস্ত হয়ে যাও। ঘরে বসে থেকো না।” নীতু আর‌ও জানিয়েছেন, যে তার জীবন ছিল ঋষিকে ঘিরে। তিনি বলেন, “আমার স্বামীর দেখাশোনা করাটা আমার কাছে ফুলটাইম চাকরির মতো ছিল। আমি জানতাম‌ই না এখন আমার জীবন কোথায় যাবে।আমি যদি আবার কাজ শুরু করার এই পদক্ষেপ গ্রহণ না করতাম, তাহলে আমি সুস্থ হয়ে উঠতে পারতাম না। নীতু আর‌ও বলেন, “আমি কারোর সঙ্গে খুব বেশি মেলামেশা করতাম না। আমার স্বামী, আমার সন্তানরা আর আমার বাড়িই ছিল আমার জীবন। কিন্তু ঋষি চলে যাওয়ার পর আমি আবার লোকজনের সঙ্গে মেলামেশা শুরু করেছি। মানুষের সঙ্গে দেখা করছি। একটা ছবি, একটা শো করছি। আমি আর অন্য কিছু ভাবছি না। শুধু ব্যস্ত থাকতে চাই। আমি জীবনে সুখী থাকতেই পছন্দ করি। দুঃখ আমার ভালো লাগে না। তাই দুঃখের থেকে পালিয়ে যাই। এখন আমি অনেকটা ভালো অনুভব করছি।” ঋষি সবসময় এত ঘোরাঘুরি করত,যে আমি ক্লান্ত বোধ করতাম। বিশ্রাম করার সময় অবধি পেতাম না। অকপটে সেকথা জানিয়েছেন নীতু।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *