সোনারগাঁর পেরাম গ্রাম। প্রায় ২০০ বছর আগে থেকেই সেখানে আয়োজিত হয়ে আসছে বৈশাখী মেলা। জন্মলগ্নে এই মেলার মূল আকর্ষণ ছিল যামিনী সাধক নামের এক ব্যক্তি। নববর্ষের দিনে তিনি ঘোড়ার পিঠে চেপে মানুষকে প্রসাদ বিতরণ করতেন। তাঁর মৃত্যুর পরে ওই মেলা প্রাঙ্গণে নির্মিত হয় একটি স্মৃতিস্তম্ভ। সঙ্গেই ছিল সেই প্রমাণ আয়তনের মাটির তৈরি ঘোড়ার মূর্তিও। এর পাশাপাশি কচিকাচাদের জন্য কাঠের ঘোড়াড পিঠে চড়ারও বন্দোবস্ত করে মেলা কমিটি।
পরবর্তী কালে সেই কাঠের ঘোড়াই ঘূর্ণির আকার ধারণ করে। রুপ বদলে তাই হয়ে ওঠে ‘নাগরদোলা’। আর পেরাম গ্রামের সেই মেলা? আজ ‘ঘোড়া মেলা’ নামেই পরিচিত বাংলার এই পরব। প্রাচীন বঙ্গদেশের বিনোদনের এই মাধ্যমটি এখন বিভিন্ন নামেই সুপরিচিত গোটা দেশে। ‘নাগরদোলা’ ছাড়া কোনও মেলাই এখন সম্পূর্ণ নয়। কিন্তু কতজনইবা জানেন ‘নাগরদোলা’র এই জন্মবৃত্তান্ত!