প্রতিমাসের কৃষ্ণ পক্ষ ও শুক্ল পক্ষে দু’টি করে একদশী পালিত হয়। মূলত একাদশী তিথিতে ভগবান শ্রী বিষ্ণু পুজো পান। তবে সমস্ত একাদশীর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল নির্জলা একাদশী। জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্ল পক্ষের একাদশী তিথিই নির্জলা একাদশী নামে পরিচিত। মনে করা হয়, এই ব্রত করলে সমস্ত একাদশী ব্রতের সমান ফলপ্রাপ্তি ঘটে। তাই সবথেকে শুভ এবং পূর্ণ ফলদানকারী বলা হয়েছে এই নির্জলা একাদশী তিথিকে। এইদিন কিছু না খেয়ে, জল গ্রহণ না করে এই ব্রত রাখলে সবচেয়ে বেশি সুফল মেলে। ধর্মীয় বিশ্বাস, নির্জলা একাদশী ব্রত রাখলে সমস্ত রকম পাপ থেকে মুক্তি ঘটে এবং সমস্ত রকমের মনস্কামনা পূর্ণ হয়। মনে করা হয় এই একাদশী ব্রত করলে মৃত্যুর পর মোক্ষ লাভ হয়।আজ ১০ জুন, শুক্রবার এবছরের নির্জলা একাদশী। তিথি শুরু এদিন সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে, তিথি সমাপ্ত- ১১ জুন, শনিবার সকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে। পারণ বা ব্রতভঙ্গের সময় ১১ জুন, শনিবার, ভোর ৫টা ৪৯ মিনিট থেকে সকাল ৮টা ২৯ মিনিট পর্যন্ত।এই একাদশী তিথিতে স্নান, পুজো ও দান করার বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। বিশেষ এই দিনে দান করলে, ক্ষুধার্তদের খাবার খাওয়ালে, পশু-পাখিদের অন্ন দিলে অনন্ত ফল লাভ সম্ভব। দানের মাধ্যমেই এই বিশেষ তিথিতে মেলে পূণ্যফল। শাস্ত্রমতে, নির্জলা একাদশীর দিনে জল ও কলসি দান করাকেই শ্রেষ্ঠ দান মনে করা হয়। এছাড়াও এদিন অন্ন, কাপড়, ছাতা, পাখা, ফল ও মিষ্টি দান করতে পারলেও শুভ ফল মেলে।