Sambad Samakal

Chandrima on Suvendu: “লোডশেডিং বিধায়ক”! শুভেন্দুকে পাল্টা কী হুঙ্কার মন্ত্রী চন্দ্রিমার?

Mar 14, 2023 @ 5:49 pm
Chandrima on Suvendu: “লোডশেডিং বিধায়ক”! শুভেন্দুকে পাল্টা কী হুঙ্কার মন্ত্রী চন্দ্রিমার?

সকালেই নন্দীগ্রাম থেকে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সেই নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়েই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পাল্টা হুঙ্কার ছাড়লেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। শুভেন্দু অধিকারীকে “অমাবস্যার চাঁদ”, “লোডশেডিং বিধায়ক” বলেও কটাক্ষ করেন চন্দ্রিমা ও সায়ন্তিকা।

মঙ্গলবার নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় ভাঙাবেড়া ব্রিজের কাছে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে চন্দ্রিমা ভারতের রাজনীতি থেকে বিজেপিকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার ডাক দেন।

২০০৭ সালের ১৪ মার্চ এই ভাঙাবেড়া ব্রিজের কাছেই পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ১৪ জন সদস্যের। সেই দিনটি বরাবরই ‘শহিদ দিবস’ হিসাবে পালন করে আসছে নন্দীগ্রাম। শুভেন্দু বিজেপিতে যাওয়ার পর নন্দীগ্রামে একই দিনে পৃথক কর্মসূচি পালন করে তৃণমূলও। ওই ব্রিজের কাছে একটি শহিদ বেদি রয়েছে। শুভেন্দুর তৈরি শহিদ বেদি রয়েছে গোকুলনগরে। মঙ্গলবার সকালে সেখানে কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে “একেবারে গ্যারেজ” করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু। শুভেন্দুর সভার পর সেখান থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে ভাঙাবেড়া ব্রিজের কাছে তৃণমূল আয়োজিত কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন চন্দ্রিমা, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌমেন মহাপাত্র, অখিল গিরি-সহ তৃণমূলের অন্য নেতৃত্বরা।

সেই কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে চন্দ্রিমা বলেন, ‘‘আমরা রক্তাক্ত খেলা খেলব না। কিন্তু ওই রাজনৈতিক দলকে ভারতের রাজনীতিতে শহিদ করতে হবে। এখানে এক জন ছিলেন। সেই ছেলেটির নাম যেন কি? শুভ ইন্দু (চাঁদ) নয়, উনি আসলে অমাবস্যার চাঁদ। ওঁর নামে অন্ধকার ছাড়া কিছুই দেখা যায় না। এক জন ভুঁইফোড় বিজেপি নেতা। যাঁদের হাত শহিদদের রক্তে রাঙা তাঁদের হাত ধরেই গোকুলনগরে শহিদ দিবস করতে গিয়েছেন।’’

চন্দ্রিমা আরও বলেন, ‘‘উনি আবার সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন ১৪ মার্চ ২০২৪ এর আগে পিসি-ভাইপোকে গ্যারেজ করে দেবেন। উনি কি জ্যোতিষী না কি রে বাবু? গ্যারেজ করে দেবে না কি নিজেই গ্যারেজ হবে! ওঁকেই গ্যারেজ করে দিতে হবে, এটাই ওঁর কপালে লেখা রয়েছে। এত অহংকার ভাল নয়, এই অহংকার বাংলার মানুষ চূর্ণ করে দেবে। নন্দীগ্রামের মানুষ চূর্ণ করে দেবে।’’

এদিন শুভেন্দুকে মিরজাফর বলে আক্রমণ করেন অভিনেত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী সায়ন্তিকা। তিনি বলেন, “অনেক মিরজাফরের মুখোশ খুলে গিয়েছে। তৃণমূল এখন দুধ দিয়ে কালসাপ পোষা বন্ধ করে দিয়েছে। মুসলিম পরিবারে কেউ জন্মালে যেমন তার নাম মিরজাফর রাখা হয় না, তেমনই হিন্দু পরিবারে পুত্রসন্তান জন্মালে শুভেন্দু রাখা হয় না। নন্দীগ্রামের মানুষ জানেন উনি লোডশেডিং বিধায়ক।”

Related Articles