জাতীয় দলের মর্যাদা হারাল তৃণমূল। সোমবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনটাই জানিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তবে, সূত্রের খবর, কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে “চক্রান্তের অভিযোগে” আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে ঘাস ফুল শিবির।
নির্বাচন কমিশনের যুক্তি, নির্বাচনী আইন অনুযায়ী জাতীয় দল হতে গেলে তিনটি শর্তের অন্তত একটি পূরণ করতে হয়। এক, লোকসভায় অন্তত ৪টি রাজ্য থেকে ৬ শতাংশ ভোট পেতে হবে। দুই, লোকসভায় ৩টি রাজ্য থেকে অন্তত ১১টি আসন (মোট আসনের ২ শতাংশ) জিততে হবে এবং আগের জেতা আসনের অন্তত ৪টি পুনরায় জিততে হবে। তিন, অন্তত ৪টি রাজ্যে ‘রাজ্য দলের’ তকমা পেতে হবে। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে বাংলার পাশাপাশি ত্রিপুরা, অরুণাচল ও মণিপুরে ৬ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিল তৃণমূল। ফলে প্রথম শর্ত পূরণ করে তারা। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে সে শর্ত তারা পূরণ করতে পারেনি। সে বছর অরুণাচলের বিধানসভা ভোটেও কোনও আসনে জিততে তারা ব্যর্থ হয়। এর পর ২০২২ সালে মণিপুর এবং চলতি বছরে ত্রিপুরাতেও আঞ্চলিক দল হওয়ার শর্তপূরণের সুযোগ হারায় তারা। ত্রিপুরায় মোট ভোটের হিসাবে নোটার চেয়েও পিছিয়ে ছিল তৃণমূল।
এইসব যুক্তি দেখিয়েই সোমবার নির্বাচন কমিশন তৃণমূলের জাতীয় দলের মর্যাদা হারানোর কথা জানিয়েছে। কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, “নির্বাচনী ফলের ভিত্তিতে প্রতীক বণ্টন সংক্রান্ত নিয়মাবলীর ভিত্তিতে তৃণমূলের জাতীয় দলের মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়েছে।”
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি কংগ্রেস ছেড়ে নতুন দল তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে জাতীয় দলের স্বীকৃতি পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল আরও ১৮ বছর। ২০১৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর জাতীয় দল হিসেবে জোড়াফুলকে মর্যাদা দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।