Sambad Samakal

Koushiki Amabasya: আজ কৌশিকী অমাবস্যা, মাহাত্ম্য জানেন?

Sep 14, 2023 @ 10:59 am
Koushiki Amabasya: আজ কৌশিকী অমাবস্যা, মাহাত্ম্য জানেন?

আজ, ১৪ সেপ্টেম্বর, বাংলা হিসেবে ২৭ ভাদ্র, বৃহস্পতিবার, কৌশিকী অমাবস্যা। আর এই অমাবস্যা তিথি ঘিরেই মাতৃ আরাধনায় মেতে উঠেছেন ভক্তরা। মাতৃ আরাধনার পাশাপাশি আজ তন্ত্র সাধনারও বিশেষ দিন। বিভিন্ন কঠিন তন্ত্র ক্রিয়ায় সফল হওয়ার জন্য সারাবছর ধরে বিশেষ এই তিথির অপেক্ষায় থাকেন সাধকরা। কেন এই অপেক্ষা? কী মাহাত্ম্য এই কৌশিকী অমাবস্যা তিথির? জেনে নেব আমরা।

কৌশিকী অমাবস্যার রাতকে তারা রাত্রিও বলা হয়। এই অমাবস্যায় তারাপীঠে তারা মায়ের বিশেষ পুজোর প্রচলন রয়েছে। কৌশিকী শব্দের আভিধানিক অর্থ হল আদ্যা শক্তির বিশেষ রূপ। পুরান অনুসারে, দেবী কৌশিকী শুম্ভ নিশুম্ভ নামে দুই অসুরকে বধ করেছিলেন। তবে এর নেপথ্যেও পুরাণে একটি বিশেষ কাহিনীর উল্লেখ রয়েছে। পুরাণ কাহিনী অনুসারে, পুরাকালে দুই শক্তিশালী অসুর ছিল। তারা খুব কঠিন সাধনা করে প্রজাপতি ব্রম্মাকে সন্তুষ্ট করেছিলেন। ব্রম্মা তাদের বর দিয়েছিলেন যে কোনও পুরুষ তাদের বধ করতে পারবে না। শুধু মাত্র কোনও অ যোনি সম্ভূত নারী তাদের বধ করতে পারবে। অর্থাৎ এমন কোনোও নারী যিনি কোন মাতৃ জঠর থেকে জন্মগ্রহণ করেননি, তার হাতে এক মাত্র এই দুই অসুরের মৃত্যু হতে পারে।

এদিকে দক্ষের যজ্ঞস্থলে দেহত্যাগ করার পর সতী কালিকা রূপে জন্মগ্রহণ করেন। কালো মেঘের মতো দেহের রং হওয়ায় শিব তাঁকে কালিকা বলে সম্বোধন করতেন। দেবকুল যখন শুম্ভ নিশুম্ভর অত্যাচারে অতিষ্ঠ তখন রক্ষা করতে এগিয়ে আসেন মহাদেব। শুভ নিশুম্ভর হাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করতে মহাদেব কালিকাকে ডাকেন। কিন্তু শিব তাঁকে সকলের সামনে কালিকা বলে ডাকায় দেবীর অভিমান হয়। তাই কালো রং থেকে মুক্তি পেতে তিনি মানস সরোবরের পারে এক কঠিন তপস্যায় বসেন। তপস্যা শেষে তাঁর গায়ের বর্ণ হয় পূর্ণিমার চাঁদের মতো, আর ওই কালো কোশিকাগুলি থেকে এক অপূর্ব দেবীর সৃষ্টি হয়, যাঁর গায়ের রং ছিল কৃষ্ণ বর্ণ। তিনিই হলেন দেবী কৌশিকী। অ-যোনি সম্ভূত এই দেবী কৌশিকীই বিশেষ এই অমাবস্যা তিথিতে ওই দুই শক্তিশালী অসুর শুম্ভ নিশুম্ভকে বধ করেছিলেন। তাই এই অমাবস্যার নাম কৌশিকী অমাবস্যা।

তন্ত্র মতে, কৌশিকী অমাবস্যা তিথির বিশেষ মাহাত্ম্য আছে। মনে করা হয় এই অমাবস্যার রাতে এক বিশেষ মুহূর্তে স্বর্গ ও নরক দুইয়েরই দরজা মুহূর্তের জন্য খুলে যায় এবং সাধক তাঁর ইচ্ছামতো ধনাত্মক অথবা ঋণাত্মক শক্তি, সাধনার মাধ্যমে আত্মস্থ করেন ও সেই সঙ্গে সিদ্ধিলাভ করেন। হিন্দু তন্ত্র মতে মনে করা হয় যে, এই বিশেষ অমাবস্যা তিথিতে কঠোর তপস্যায় আশাতীত ফল পাওয়া যায়। সাধক এই দিন তাঁর কুন্ডলিনী চক্রকে জয় করতেও সক্ষম হন।

Related Articles