বদল হয়েছে স্কুল কলেজের পরীক্ষার সূচি। আর সেই কারণেই এবার এগিয়ে এল আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার সময়ও। মঙ্গলবার পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড জানাল, সল্টলেকের। বইমেলা প্রাঙ্গণে ৪৭তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ২০২৪ শুরু হতে চলেছে আগামী ১৮ জানুয়ারি, চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। কলকাতা বইমেলা ২০২৪-এর থিম কান্ট্রি ইউনাইটেড কিংডম। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বইমেলার সূচি ঘোষণার পাশাপাশি উন্মোচিত হল এবারের বইমেলার থিম কান্ট্রির লোগো।
পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানালেন, গত বছর “দেশ-বিদেশের ছোট-বড় প্রকাশনী, লিটিল ম্যাগাজিন, ও অন্যান্য স্টলের সংখ্যা ৯০০ পেরিয়েছিল। সংখ্যাটা এবার আরও বাড়বে।” প্রকাশক সংস্থাগুলির আয়ও এবছর আরও বাড়বে বলে তিনি আশাবাদী।
গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক শুধাংশু শেখর দে জানান, বইমেলা প্রাঙ্গণেই ২৬ থেকে ২৮ জানুয়ারি আয়োজিত হবে কলকাতা লিটারারি ফেস্টিভ্যাল। যা ঘিরে বই ও সাহিত্য প্রেমীদের বাড়তি উৎসাহ থাকবে বলে মনে করছে গিল্ড। সুধাংশুবাবু বলেন, এবারের কলকাতা বইমেলায় দুটি শনি ও দুটি রবিবার ছাড়াও ২৩ জানুয়ারি ও ২৬ জানুয়ারি দুটি বাড়তি ছুটির দিন পেয়ে যাচ্ছেন বইপ্রেমীরা।
তবে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার এই ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তায় একটা বড় সংকট তৈরি করেছে বলে মন্তব্য করেন গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক শুধাংশু শেখর দে এবং সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়। তাঁরা জানান, এবছর বইমেলায় স্টল পাওয়ার জন্য দুই হাজার আবেদন জমা পড়েছে। কিন্তু মেলা প্রাঙ্গণের আয়তন তো আর বাড়ানো সম্ভব নয়। সেই কারণেই এই সংকট। সুধাংশু শেখর দে বলেন, “আমরা সবসময়ই চাই, যত বেশি সংখ্যক নতুন প্রকাশকদের জায়গা করে দিতে। এবছরও স্টলের সংখ্যা বেশ কিছুটা বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা রয়েছে গিল্ডের। কিন্তু দুই হাজার স্টল তো ওইটুকু জায়গায় সম্ভব হবে না।” ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “গত বছরের থেকে এবছর স্টলগুলির পরিসর কিছুটা ছোট করে অন্যদের জায়গা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর জন্য সামগ্রিক একটা পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। তবে তার পরেও সব আবেদনকারীকে জায়গা দেওয়া যাবে না।”