পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার ইতিহাসে সম্ভবত প্রথমবার। বিধানসভা চত্বরে মুখোমুখি ধরনায় মুখ্যমন্ত্রী আর বিরোধী দলনেতা। মুখ্যমন্ত্রী বসে লনে আম্বেদকরের মূর্তির নিচে। আর বিরোধী দলনেতা উল্টোদিকে গাড়ি বারান্দায়। সেইসঙ্গে শাসক ও বিরোধী, টানা দুই পক্ষকে নিশানা করে দুই পক্ষের “চোর চোর” স্লোগান। সব মিলিয়ে বুধবার শহরে শাহী সভার দিনই উত্তাল বিধানসভা চত্বরও।
এদিনই ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহের জনসভা। বিজেপির এই মেগা সমাবেশের মূল বিষয় ছিল রাজ্যে শাসক দলের দুর্নীতি ও বঞ্চনার প্রতিবাদ। এই দিনটিতেই বিধানসভায় কালা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেন শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়করা।
এদিন বিধানসভা চত্বরে লনে আম্বেদকরের মূর্তির নিচে ধরনায় বসেন তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী-বিধায়করা। সেই ধরনা কর্মসূচিতে অংশ নেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরেক দফা বিক্ষোভ দেখাতে বিজেপি বিধায়করা বাইরে বেরিয়ে আসেন। লবিতে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের উদ্দেশে স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। এসবের মাঝেই আচমকা বিধানসভায় ঢোকেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির ধরনায় এসে বসেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে “চোর চোর” স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। পাল্টা শুভেন্দু অধিকারী ও শিশির অধিকারীকে টার্গেট করে “চোর” স্লোগান তোলে তৃণমূলও। সব মিলিয়ে তৃণমূল-বিজেপির স্লোগান-যুদ্ধে নজিরবিহীনভাবে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা চত্বর।