কে হবেন রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের পরবর্তী প্রশাসনিক সদস্য? এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই বৈঠক আয়োজিত হতে চলেছে নবান্নে। প্রথা মেনে এবার এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।
ইতিমধ্যেই এই পদের জন্য অনেকেই আবেদন জানিয়েছেন। তবে তাঁদের মধ্যে থেকে কাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে তা ঠিক হবে আগামী ১৪ ডিসেম্বর। ওই দিন নবান্নে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। প্রথা মেনে ওই বৈঠকে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও। এখন প্রশ্ন হল, তিনি কি বৈঠকে যোগ দেবেন?
গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের প্রশাসনিক সদস্যের পদ থেকে অবসর নিয়েছেন নপরাজিত মুখোপাধ্যায়। তাঁর ছেড়ে যাওয়া আসনে কে বসতে পারেন, সেই নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই জল্পনা চলছে। এই পদের জন্য ৩ জন আবেদন করেছেন। তাঁর মধ্যে আছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়, অবসরপ্রাপ্ত বিচারক পার্থসারথি মুখোপাধ্যায় ও প্রাক্তন আইপিএস অধীর শর্মা।
নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের পরবর্তী প্রশাসনিক সদস্য হিসেবে রাজ্য সরকারের প্রথম পছন্দ বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যসচিব পদ থেকে অবসর নেওয়ার পর রাজ্যের মুখ্য তথ্য কমিশনারের দায়িত্ব সামলেছেন বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বেশ জাঁদরেল আমলা হিসেবেই পরিচিত। স্বরাষ্ট্রসচিব হিসেবেও তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আছে।
নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্য মানবাধিকার কমিশন তিন সদস্য নিয়ে গঠিত। রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য, জুডিশিয়াল সদস্য হিসেবে আছেন কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মধুমিতা মিত্র। এখন দেখার প্রশাসনিক সদস্য হিসেবে কাকে দায়িত্ব দেয় নবান্ন।
রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের এই সদস্য পদে কাকে নির্বাচন হবে তার জন্য একটি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। আগামী ৪ ডিসেম্বর বিধানসভাতে অধ্যক্ষের ঘরে এই বৈঠক হবে বলে স্থির থাকলেও সেটা পরিবর্তন করা হয়েছে। সেই বৈঠক হবে নবান্নে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে শুভেন্দুকে।
আগামী ১৪ ডিসেম্বর আয়োজিত এই বৈঠকে থাকবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকের কথা জানিয়ে নবান্নের তরফে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, সেই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করেছেন শুভেন্দুও। তবে সম্প্রতি বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন থেকে তাঁকে সাসপেন্ড করা ও তার পাল্টা বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কটের সিদ্ধান্ত ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে যে তোলপাড় চলছে, সেই প্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ওই বৈঠকে শুভেন্দু কি আদৌ যোগ দেবেন? এবিষয়ে এখনই নিশ্চিত করে অবশ্য কিছু জানাননি নন্দীগ্রামের বিধায়ক। শুভেন্দু বলেন, ওই বৈঠকে তিনি যাবেন কি যাবেন না, ১৪ তারিখের আগেই তা জানিয়ে দেবেন।