মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্য সরকারের তরফে লর্ডস বেকারির কাছে টালিগঞ্জের টিপু সুলতান কবরখানায় তাঁকে কবরস্থ করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু পরিবারের ইচ্ছায় শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত বদল হয়। স্থির হয়, উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁতে, তাঁর জন্মস্থানেই বাবা-মায়ের কবরের পাশে সমাধিস্থ করা হবে উস্তাদ রাশিদ খানকে। বুধবার রাত সাড়ে ন’টার বিমানে কলকাতা থেকে নয়াদিল্লি উড়ে যাবে উস্তাদজির মরদেহ। তারপর সেখান থেকে সড়ক পথে নিয়ে যাওয়া হবে উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁতে। এদিন সকাল থেকেই রবীন্দ্র সদিনে শায়িত ছিল উস্তাদ রাশিদ খানের দেহ। গান স্যালুটের পাশাপাশি নিজে উপস্থিত হয়ে প্রিয় উস্তাদজিকে শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মঙ্গলবার রাতেই টালিগঞ্জের কবরখানা পরিদর্শনে আসেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। উস্তাদজিকে কোথায় সমাধিস্থ করা হবে, তা খতিয়ে দেখেন তাঁরা। মেয়র ও বিদ্যুৎ মন্ত্রীর নির্দেশে কবরস্থান ও সংলগ্ন এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাস্তাঘাট সংস্কারের কাজও শুরু করেন স্থানীয় ৯৪ ও ৯৩ ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর সন্দীপ নন্দী মজুমদার এবং মৌসুমী দাস। রাস্তায় নতুন করে পিচ বসানোর পাশাপাশি বাড়ানো হয় আলোও। দাঁড়িয়ে থেকে সমস্ত কাজের তদারকি করেন কাউন্সিলর সন্দীপ নন্দী মজুমদার ও মৌসুমী দাস। কিন্তু বেলার দিকে খবর আসে, পরিবারের ইচ্ছা কলকাতা নয়, উস্তাদজিকে সমাধিস্থ করা হোক তাঁর জন্মস্থান বদায়ুঁতে, তাঁর বাবা-মায়ের কবরের পাশেই। সেই মতোই তাঁকে রাতের বিমানে উত্তর প্রদেশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।