গুজরাট সরকার সাজা মকুব করে মুক্তি দিলেও বিলকিস বানো গণধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত ১১ জনকেই জেলে ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ওই ১১ জনকে জেলে ফেরাতে সময়ও বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু এবার সেই ১১ জনের মধ্যে ৯ জন্যই নিখোঁজ। ৯ জনের বাড়িতে তালা ঝুলছে। আর এই ঘটনায় ফের শুরু হয়েছে চাপানউতোর। শীর্ষ আদালতের রায়ের পর কীভাবে ওই ৯ অপরাধী ফেরার হল, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠেছে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও।
২০২২ সালের ১৫ আগস্ট ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে বিলকিসের দোষীদের মুক্তি দিয়েছিল গুজরাট সরকার। মুক্তির পর স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব ওই ১১ জনকে সংবর্ধনা দিয়েছিল বলে অভিযোগ। এমনকী বিতর্কের মাঝে গুজরাট সরকার জানায়, জেলে ১১ জন ধর্ষক ও খুনি ‘ভালো আচরণ’ করেছে। সেই কারণেই তাদের সাজার মেয়াদ কমানো হয়েছিল। যার বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন বিলকিস। গত সোমবার সুপ্রিম কোর্ট গুজরাট সরকারের ওই নির্দেশ বাতিল বলে ঘোষণা করেছে। সেই সঙ্গে ওই ১১ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ধর্ষককে দু’সপ্তাহের মধ্যেই জেলে ফেরার নির্দেশও দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
এর মধ্যেই একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বিলকিসের ৯ অপরাধীর বেপাত্তা হওয়ার খবর সামনে আসে। বেপাত্তা ওই ৯ জনের নাম গোবিন্দ নাই, রাধেশ্যাম শাহ, প্রদীপ মোধিয়া, রাজুভাই সোনি, সৈলেশ ভট্টা, মিতেশ ভট্ট, কেশরভাই ভোহানিয়া, রমেশ চন্দনা ও বিপিনচন্দ্র জোশী।