অবশেষে অভিমানের বরফ গলল।
মূলত কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদ ও ১০০ দিনের শ্রমিকদের বকেয়া টাকা আদায়ের দাবিকে সামনে রেখেই নব জোয়ার যাত্রায় তিনি চষে ফেলেছেন কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ। সাড়াও মিলেছে ব্যাপক। একই ইস্যুতে ধরনা দিয়েছেন দিল্লির রাজপথে, কলকাতায় ফিরে টানা ধরনায় বসেছেন রাজভবনের সামনে। বলা যায়, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই ইস্যুকে সামনে এনেছেন তিনিই। তিনি তৃণমূলের প্রধান সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই ইস্যুতেই ২ ও ৩ ডিসেম্বর যখন বুথস্তরে আন্দোলনের ডাক দিলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন সেই আন্দোলনে কার্যত ব্রাত্য করে রাখা হল অভিষেককে। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে তৃণমূলের ধরনা আন্দোলনও শুরু হয়ে গেল অভিষেককে বাদ রেখেই। স্বাভাবিক ভাবেই অভিমানের পর অভিমান জমা হয়েছিল তৃণমূলের সেনাপতির মনে। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে চর্চাও কম হয়নি। এরমধ্যেই মঙ্গলবার দিল্লি থেকে ফিরে সোজা নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন অভিষেক। দুজনের প্রায় পৌনে দুঘণ্টার বৈঠক হয়। আর সেই বৈঠকের পরেই কিছুটা হলেও অভিষেকের অভিমান ভাঙে। আর তারপরেই বুধবার অভিষেকের কার্যালয় থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, আসন্ন লোকসভা ভোট নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক করবেন তৃণমূলের প্রধান সেনাপতি। ১৬ ফেব্রুয়ারি দলের সমস্ত সাংসদ, বিধায়ক ও ব্লক সভাপতিদের সঙ্গে ওইদিন ভার্চুয়াল মাধ্যমে অভিষেক বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন।
তবে সকলের আশা ছিল, বুধবার হয়তো ধরনা মঞ্চে যাবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মঞ্চের চারদিকে অভিষেকের বড় বড় কাটআউটও দেখা গিয়েছে। কিন্তু আন্দোলন ষষ্ঠ দিনে পড়লেও ধরনা মঞ্চে দেখা যায়নি অভিষেককে।