পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে এল আরও একটা নতুন বছর। আর বাংলা নববর্ষের এই প্রথম দিনে বাড়ি বাড়ি ঘুরে এলাকার বিশিষ্টজন ও অগ্রজদের পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিলেন কলকাতা পুরসভার ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৌসুমী দাস। অন্যান্য বছরের মতো এবছরও বর্ষবরণের সকালে এলাকার বর্ষীয়ান নাগরিক, বাংলা সাহিত্যের জীবন্ত কিংবদন্তি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে হাজির শিক্ষিকা, কাউন্সিলর মৌসুমী। ফুল, মিষ্টি দিয়ে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি বর্ষীয়ান সাহিত্যিকের পা ছুঁয়ে নিলেন আশীর্বাদ। ওয়ার্ডের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে প্রিয় কাউন্সিলরকে প্রশংসায় করালেন শীর্ষেন্দু। দিলেন পরামর্শও।
এরপরই এলাকার আরেক বিশিষ্ট নাগরিক, তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের বাড়িতে পৌঁছন মৌসুমী। সেখানেও একইভাবে শুভেচ্ছা বিনিময় ও আশীর্বাদ গ্রহণের পর ওয়ার্ড এর বিভিন্ন কাজ নিয়ে চলে আলোচনা। কাউন্সিলর এদিন দেখা করেন রাশবিহারীর বিধায়ক তথা কলকাতার মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমারের সঙ্গেও। পা ছুঁয়ে প্রণাম করতেই প্রিয় কাউন্সিলরের মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করেন দেবাশিস কুমার। দক্ষিণ কলকাতার বিদায়ী সাংসদ তথা আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মালা রায়ের বাড়িতেও যান কাউন্সিলর মৌসুমী। আশীর্বাদ নেন দলের অগ্রজ নেতা নির্বেদ রায়ের।
সকালে স্থানীয় মিলন সংঘ ক্লাবের প্রভাতফেরিতে অংশ নেন কাউন্সিলর মৌসুমী। এরপর লেকগার্ডেন্স ফাল্গুনী সংঘের আয়োজনে পিছিয়ে পড়া মানুষদের হাতে তুলে দেন ফল ও মিষ্টি। কাউন্সিলর মৌসুমী দাস জানান, “নববর্ষ বাংলার ঐতিহ্য। এই দিনটিকে উদযাপনের মাধ্যমে আমরা বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি, পরম্পরাকে এগিয়ে নিয়ে যাই। নতুন বছর শুরুর দিনে বড়দের পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নেওয়াটাও আমাদের কৃষ্টি। ছোটবেলা থেকেই আমরা এটা করে আসি। অন্যান্য বছরের মতোই আজও তাই এলাকার বিশিষ্ট মানুষ ও অগ্রজদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের আশীর্বাদ নিলাম।”