আশঙ্কা ছিলই। আর সেই কারণেই একদিন আগেই বিজেপির “ডামি” প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন দেবতনু ভট্টাচার্য। অবশেষে আশঙ্কা সত্যি করে শুক্রবার বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী, প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধরের মনোনয়ন খারিজ করল নির্বাচন কমিশন। “নো ডিউজ” সার্টিফিকেট জমা দিতে না পারার জেরেই তাঁর মনোনয়ন খারিজ করল কমিশন। কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন দেবাশিস। যদিও কিছুদিন আগেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, ভোট সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করবে না আদালত।
উল্লেখ্য, গত ২৩ এপ্রিল বীরভূমের নির্বাচনী সভা থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি প্রার্থী , প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধরের “নো ডিউজ” নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। জানিয়েছিলেন, তিনি এখনও রাজ্য সরকারের কাছে “নো ডিউজ” ক্লিয়ার করেননি। অথচ মনোনয়ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে এই “নো ডিউজ” সার্টিফিকেট জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। ফলে বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হতে পারে বলে জল্পনা ছড়ায়। এই আবহে বৃহস্পতিবার তড়িঘড়ি “ডামি” প্রার্থী হিসাবে দেবতনু ভট্টাচার্যর মনোনয়ন জমা করায় বিজেপি। যদিও শুক্রবার মনোনয়ন বাতিলের পর দেবাশিস ধরের দাবি, “আমার ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়েছে। আমার কাছে কোনও পাওনা থাকলে নিশ্চয়ই আমার ইস্তফা গ্রহণ করা হত না।” তাঁর পাল্টা দাবি, “আমার কাছে সরকার কোনও টাকা পায় না। উলটে আমি নিজের বহু টাকা খরচ করেছি। সরকারের কাছে আমি অনেক টাকা পাই।”
সম্প্রতি একই ইস্যুতে রাজস্থানের এক কংগ্রেস প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাওয়ায় ওই কেন্দ্রে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। তবে বীরভূমের ক্ষেত্রে কী হয়, সবার নজর সেদিকেই।