সুস্মিতা ভট্টাচার্য
কাজের চাপ! অফিসের টেনশন! করোনা পরিস্থিতির উদ্বেগ! সব মিলিয়ে নাজেহাল অবস্থা। বাড়ছে মানসিক অবসাদও। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে মোক্ষম দাওয়াই প্রিয়মানুষকে নিবিড় আলিঙ্গন। হ্যাঁ, যাকে খুব কাছের, মনের মানুষ মনে হচ্ছে তাকেই দিনের মধ্যে অন্তত একবার জড়িয়ে ধরার মাধ্যমেই দূর হয়ে যেতে পারে আপনার যাবতীয় অবসাদ। কেটে যেতে পারে শরীর ও মনের যাবতীয় অলসতা। ফিরতে পারে ফুরফুরে মেজাজ। অবশ্যই তা হতে হবে দুজনেরই স্বতঃস্ফূর্ত আলিঙ্গন, আবেশের আদরমাখা উষ্ণতার পরশ। সহজ কথায়, দুই শরীর না মিশলেও মানসিক উত্তাপের আঁচে ঋদ্ধ হবে দুই জীবন, দুই প্রাণ, দুই হৃদয়।
পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা প্রায় ১৭ হাজার জুটির উপর সমীক্ষা শেষে বলছেন, প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরার মাধ্যমে আপনি মানসিক শান্তি পাবেনই। অনেক দুশ্চিন্তা থেকে সহজেই রেহাই মিলবে। আসলে স্বতঃস্ফূর্ত আলিঙ্গন, আবেশের আদরমাখা উষ্ণতার পরশে শরীরের নানা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হন অনেক হ্যাপি হরমোন। মনের মানুষকে জড়িয়ে ধরলে শরীর থেকে 'অক্সিটোসিন' নামক হরমোন নির্গত হয়, যা একে অপরের বিশ্বাস ও ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে। লড়াই করার জন্য মনোবল তৈরি করে। গবেষক চিকিৎসকরা বলছেন, হৃদরোগ সম্পর্কিত যে কোনও ঝুঁকি হওয়ার সম্ভাবনাকে প্রতিরোধ করে। তবে আলিঙ্গনের সঙ্গে যদি দুজনের ঠোঁটে ঠোঁট মিশে যায় তবে তা সম্পর্কের সাথে শরীরের জন্যও আরও উপকারী, বলেছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা।
তাই এই করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের উদ্বেগ, অবসাদ, আশঙ্কা দিনের পর দিন যেখানে বেড়েই চলেছে সেখানে আরও বেশি করে আলিঙ্গনের প্রয়োজন। প্রিয় মানুষটা যাতে ভেঙে না পড়েন, তাঁকে আশ্বস্ত করুন। বুঝিয়ে দিন আপনি আছেন তাঁর পাশে। হাতে হাত রাখুন, কাছে টেনে নিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরুন, ভরসা দিন। প্রিয় মানুষকে অনুভব করান, এ যুদ্ধে আমরা জয়ী হবই।
তবে সাবধান! যেখানে সেখানে যাকে তাকে জড়িয়ে ধরলে কিন্তু বিপদে পড়তে পারেন।