হাঁসফাঁস গরমে অপরিহার্য হল ডাবের জল। কারণ গরমে ডিহাইড্রেশনের মোকাবিলা করতে এর জুড়ি মেলা ভার। এছাড়াও ইমিউনিটির মাত্রা বাড়াতেও ভীষণ সাহায্য করে ডাবের জল। শুধু তাই নয়, ডাবের জল নাকি হার্ট অ্যাটাকও রুখে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা তো অন্তত তাই বলেছেন।
প্রথমেই আসা যাক ডিহাইড্রেশন প্রসঙ্গে। অতিরিক্ত গরমের সময় ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যায় শরীরের অনেকটা প্রয়োজনীয় জল। এই প্রয়োজনীয় জল শরীর থেকে অতিরিক্ত মাত্রায় বেরিয়ে গেলে ডিহাইড্রেশনের মতো সমস্যা তৈরি হয়। ডাবের জল সেই সমস্যার সমাধান খুব সহজেই করতে পারে। এমন সময় ডাবের জল অনেকটা ওআরএসের মতো কাজ করে। ডাবের জলের উপাদান সহজেই শরীরের এনার্জি বাড়িয়ে দিতে পারে।
এছাড়াও ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করতে ডাবের জলের বিকল্প হয়তো খুব কমই আছে। ডাবের জলের ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে। তবে মিষ্টতার মাত্রা বেশি থাকায় মধুমেহ রোগীদের একটু বুঝে শুনে খেতে হবে।
হার্টের সমস্যা ক্ষেত্রেও ডাবের জল বেশ উপকারী। হার্ট অ্যাটার্কের সম্ভবনা কমানোর ক্ষমতা রাখে এই আদ্যান্ত প্রাকৃতিক পানীয়। এটি হাইপারটেনশনও কমায়। তাই হার্টকে ভালো রাখতে প্রতিদিনের ডায়েটে রাখা যেতেই পারে।
ডাবের জলে যথেষ্ট ক্যালসিয়াম থাকার জন্য এটি হাড় ভালো রাখতেও সাহায্য এবং ম্যাগনেসিয়ামও একই কাজে লাগে, যা ডাবের জলে আছে।
এছাড়াও রূপচর্চার কাজে এটি বহুল প্রচলিত। রোদে পোড়া বা সানট্যান দূর করতে ডাবের জল বিশেষ কাজের জিনিস। শুধু তাই নয়, মুখের যেকোন দাগ দূর করতেও সাহায্য করে। টোনার হিসাবেও এটি খুব উপকারী। ত্বকের ইনফেকশন সারাতে পারে এটি। কারণ ডাবের জলের অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ বর্তমান। ত্বককে চকচকে করার পাশাপাশি, এটি প্রাকৃতিক ময়েশচারাইজারের কাজ করে। এর পাশাপাশি ত্বক তৈলাক্ত হলে ত্বকের অতিরিক্ত তেলকে দূর করে। এবং স্কিনকে ময়েশ্চারাইজড করে। প্রতিদিন ডাবের জল রূপচর্চায় ব্যবহার করলে খুব সহজেই অল্পদিনের মধ্যে পার্থক্য চোখে পড়বে। স্কিনের পাশাপাশি চুলের নানা সমস্যা দূর করতেও ডাবের জল বেশ উপকারী। কারণ ডাবের জল স্ক্যাল্পের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।