বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগে উত্তপ্ত হল নন্দীগ্রাম। সোমবার রাতে নন্দীগ্রামের তেতুঁলবাড়ি এলাকায় নির্যাতিতাকে হাত, পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সংকটজনক অবস্থায় তমলুকে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
আর মাত্র দুদিনের অপেক্ষা। আগামী ১ এপ্রিল, বৃহস্পতিবারই ভোট রাজ্যের সবচেয়ে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রামে। এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে লড়ছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রাম পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ভোট শেষ করেই নন্দীগ্রাম ছাড়বেন। আর ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমোর উপস্থিতিতে নন্দীগ্রামে এই ঘটনা শাসকদলের অস্বস্তি বাড়াল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তার ওপর এমন দিনে এই ঘটনা ঘটল, যেদিন মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই এই নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বাংলার মেয়েরা নির্যাতিত হন না। ফলে এই ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারীর প্রচার অভিযান থেকে বাড়ি ফিরে ওই বিজেপি কর্মী তাঁর স্ত্রীকে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখেন। শারীরিক নিগ্রহের পাশাপাশি ওই মহিলাকে গলায় দড়ি বেঁধে নৃশংস ভাবে ফেলে যাওয়া হয়েছে। আসলে ভোটে হেরে যাবে বুঝতে পেরেই তৃণমূল ব্যাপক ভাবে ভয় আর সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করতে চাইছে।’
যদিও গভীর রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তৃণমূলের দাবি, এই ঘটনায় দলের কোনও যোগ নেই। পুলিশ তদন্ত করলে সত্যিটা সামনে আসবে বলে দাবি ঘাসফুল শিবিরের।