প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে কেন্দ্র। মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলির নির্দেশ প্রসঙ্গে শনিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে এমনই অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একইসঙ্গে বাঙালি-অবাঙালি প্রসঙ্গ তুলে মমতার প্রশ্ন, ‘বাংলার উপরে এত রাগ কেন? আলাপন বাঙালি বলে এত রাগ কেন? বাঙালি বলেই কি আলাপনকে টার্গেট করা হল?’ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমার মুখ্যসচিব বাঙালি ও অবাঙালি হয়েছে। আগে রাজীব সিনহা ছিলেন। আমি বাঙালি-অবাঙালি করতে চাই না। আমিও তো দিল্লি থেকে বাংলার অফিসারদের ডেকে নিতে পারি। কেন্দ্র-রাজ্য একটা তো সাংবিধানিক বোঝাপড়া থাকবে। সৌজন্য থাকবে।’
একটা সরকারকে বদনাম করা হচ্ছে বলেও এদিন সরব হন মমতা। বলেন,’মুখ্যসচিবের কি দোষ? তিনি আমার সঙ্গে কাজ করছেন। মুখ্যসচিব রাজ্য সরকারের অফিসার। কোনও আলোচনা ছাড়াই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে ডাকছেন! ৩১ মে কাজে যোগ দিতে বলছেন। আমরা ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত মানুষের ত্রাণ, বাসস্থান নিয়ে অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করছি। এই সময় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এটা কাজ!’ এপ্রসঙ্গে মমতার সাফ বার্তা,’আমি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলব প্রতিহিংসার রাজনীতি করবেন না।’
বাংলায় পরাজয় মেনে নিতে না পেরেই বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিবকে হেনস্থা করছেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে ফেলতে চাইছেন বলেও তোপ দাগেন মমতা। বাংলার জনাদেশ স্বীকার করে কেন্দ্রের কাছে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলি-চিঠি ফেরত নেওয়ার আবেদনও করেছেন মমতা। তিনি বলেন,’মানুষই আমার অগ্রাধিকার। দয়া করে নোংরা খেলা খেলবেন না। মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন। প্রতিহিংসা থামান। চিঠি প্রত্যাহার করুন। ঘূর্ণিঝড় ও কোভিড নিয়ে কাজ করতে দিন মুখ্যসচিবকে।’