খুন নয়, মূলত ভয় দেখিয়ে লুঠপাট করাই ছিল উদ্দেশ্য। গ্রেফতার হওয়ার পর গোয়েন্দাদের এরার মুখে এমনটাই জানিয়েছে কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকী ও তাঁর গাড়ির চালক রবিন মণ্ডলকে খুনে মূল অভিযুক্ত ভিকির মা মিঠু হালদার। ছেলের সঙ্গে মিলে গোটা ঘটনার মাস্টারমাইন্ড যে সেই ছিল, তাও কবুল করেছে মিঠু। জানিয়েছে, ভয় দেখিয়ে লুঠ করতেই ছেলে ভিকি ছুরি ব্যবহার করেছিল। কিন্তু সুবীর চাকী ভিকিকে চিনে ফেলতেও ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে সুবীরের ওপর হামলা চালায় ভিকি। তদন্তকারীদের মিঠু জানিয়েছে, বাড়ি কেনার ফাঁদ পেতেই সুবীরের সঙ্গে অ্যাপয়েনমেন্ট ফিক্স করেছিল ভিকি। ভেবেছিল, সুবীরের সঙ্গে অনেক টাকা থাকবে। কিন্তু এর আগেও সে বাড়ি কিনতে চেয়ে সুবীরের সঙ্গে দেখা করেছিল। ফলে সুবীর তাকে চিনে ফেলে।
তবে মিঠুর এই দাবি ঘিরে সন্দিহান গোয়েন্দারা। তদন্তে তাঁরা জানতে পেরেছেন, ঘটনার দিন পঞ্চাশ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে অপরাধ মনস্ক তিন যুবককে সুবীর চাকীর বাড়ির সামনে জড়ো করেছিল ভিকি। খুন তারা ভিকিকে সাহায্যও করেছিল। রহস্যের জট খুলতে তাই ফেরার ভিকির খোঁজ পেতে মরিয়া গোয়েন্দারা।
ঘটনার দিন বিকেল ৪টে নাগাদ ট্রেন ধরে বালিগঞ্জ স্টেশনে আসে মিঠু। সে যাদের জোগাড় করেছিল, সেই তিনজনও চলে আসে। ভিকি নিয়ে আসে আরও একজনকে। পুলিশ সূত্রে দাবি, মিঠু স্টেশনেই অপেক্ষা করছিল। বাকি পাঁচজন কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িতে হানা দেয়।
ভিকি ফার্ন রোডে একটি জায়গায় কাজ করত। সেখানেই সে রক্তমাখা জামাকাপড় রেখে দিয়েছিল। পুলিশের সূত্রে দাবি, ঘটনার পরদিন ওই জায়গা থেকে রক্তমাখা পোশাক নিয়ে যায় মিঠু। আর পরদিন বাড়িতে সেই রক্তমাখা পোশাক কাঁচতে গিয়ে প্রতিবেশীর চোখে পড়ে যাওয়াই কাল হয়। লালবাজার সূত্রে খবর, জোড়া খুনের তদন্তে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা থেকে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লালবাজারে নিয়ে আসা হচ্ছে।