সোমনাথ লাহা
রং যেন মোর মর্মে লাগে… রঙের উৎসব মানেই দোল। আর দোল মানেই মন আপনিই রঙিন হয়ে ওঠে। সমস্ত দুঃখ-কষ্টকে দূরে সরিয়ে রেখে নিজেকে রাঙিয়ে তুলি আমরা। আনন্দের ছোঁয়াটুকু নিয়ে এগিয়ে চলি আগামীর পথে। আর এই রঙের উৎসব যদি রাঙিয়ে দিয়ে যায় কাছের মানুষগুলোর জীবন! তাহলে কেমন হয়? সেই কাজটাই এবার করছেন অভিনেত্রী তৃণা সাহা।
জনপ্রিয় মেগা ধারাবাহিক ‘খড়কুটো’-র গুনগুন ওরফে তৃণা এবার দোল তাঁর স্বামী নীল ভট্টাচার্য কিংবা ধারাবাহিকের সহশিল্পীদের সঙ্গে খেলছেন না। এবার তাঁর দোল খেলার সঙ্গী ‘শান্তিনীড়’ নামের এক নিভৃত বৃদ্ধাবাসের আবাসিকরা। সেই বয়স্ক মানুষদের সঙ্গেই দোলের আনন্দে মেতেছেন এই টেলি অভিনেত্রী। তৃণার আবেগঘন উপস্থিতি সেই সমস্ত বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের মনে লাগিয়ে দিয়েছে বসন্তের রঙিন আভা। তবে বাস্তবে নয়, পুরো ঘটনাটাই ঘটেছে রিল লাইফে। এই সবটাই দেখা যাবে এসভিএফের নতুন মিউজিক ভিডিও ‘ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায়’-তে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা এই আইকনিক গানটির সঙ্গে মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেছেন তৃণা। রবি ঠাকুরের এই গানটিকে নতুনভাবে সঙ্গীতায়োজনের কাজটি করেছেন শোভন গঙ্গোপাধ্যায়। শোভনের মিউজিক অ্যারেঞ্জমেন্টে এই রবীন্দ্রসংগীতটি গেয়েছেন ঈশান মিত্র। গানটির নতুনভাবে অ্যারেঞ্জমেন্ট প্রসঙ্গে শোভন জানান, “গানটা যেহেতু দোলের সময় রিলিজ করছে, তাই শ্রোতাদের মধ্যে যেন গানটা একটা আনন্দঘন মুহূর্তের সৃষ্টি করে, সেটা মাথায় রেখেই কাজটা করেছি। গানটার পুরো অংশ জুড়েই ভালোবাসা ও আশার একটা বাতাবরণ তৈরি করা হয়েছে। আশাকরি দর্শকরা সেটার প্রশংসা করবেন।”
গানটি নিয়ে রীতিমতো আশায় বুক বেঁধেছেন সংগীতশিল্পী ঈশান। তাঁর কথায়, “রবি ঠাকুরের লেখা একটি অন্যতম আইকনিক গান ‘ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায়’। গানটিকে অত্যন্ত সুন্দর করে রি-অ্যারেঞ্জ করেছে শোভন। নতুন আঙ্গিকে তৈরি এই গান শ্রোতাদের পছন্দ হবেই।”
প্রসঙ্গত, এই প্রথমবার কোনও মিউজিক ভিডিওতে এককভাবে অভিনয় করলেন তৃণা। স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত অভিনেত্রী জানান, “নিজের পছন্দের মানুষের সঙ্গে দোলের মতো উৎসব পালন করার মতো আনন্দ আর কিছুতে হয় না। কিন্তু এমন মানুষ, যাঁদের এই উদযাপনে দরকার তাঁদের সঙ্গে থাকতে পেরে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়।” আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই এসভিএফের ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পায় এই গানটি।