বিভিন্ন ইস্যুতে রাজভবন ও নবান্নের সংঘাত নতুন নয়। বিশেষ করে পূর্ববর্তী রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সময়ে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে নজিরবিহীন সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বাংলার নতুন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সময়ে সেই জটিলতার কিছুটা হলেও অবসান হল। মঙ্গলবার রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আর সেই বৈঠকের পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সৌজন্যের বার্তা দিলেন দু’জনেই।
এদিন রাজভবনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সে ৬ জন উপাচার্যের নিয়োগপত্রে রাজ্যপাল তথা আচার্যের সাক্ষর নেই, তাঁরা পদত্যাগ করবেন। আর সেই উপাচার্যদের মেয়াদ আপাতত ৩ মাসের জন্য বাড়িয়ে দেবেন রাজ্যপাল। যার ফলে আইনি সমস্যা এড়িয়ে উপাচার্যদের নিয়োগ বৈধ বলে গণ্য হবে। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সম্মতি নিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল বলেন, “শিক্ষা ক্ষেত্রে কোনও দ্বন্দ্ব নয়। বাংলা শিক্ষা ও সংস্কৃতির পীঠস্থান, আমাদের সেই স্থান ধরে রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের আত্মনির্ভর ভারত তৈরির জন্যও এটা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ।” শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “রাজ্যপাল সবার, তিনি কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের নন। যদি কোনও কিছু ঘটে থাকে, এখন তা অতীত।”