নির্বাচন কমিশন অনুমতি না দিলেও জলপাইগুড়িতে ঝড়ে দুর্গতদের ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দেবে রাজ্য সরকার। দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই দুর্গতদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ওই টাকা পৌঁছে যাবে বলে জানিয়ে দিলেন তিনি। সাফ জানালেন, “‘ইসি (নির্বাচন কমিশন) আমাদের সরকারের বিরুদ্ধে কেস করতে চাইলে করতেই পারে, কিন্তু আমরা অর্থসাহায্য করবই।’’
ঘূর্ণিঝড়ের ১২ দিন পরে এখনও বিপর্যস্ত অঞ্চলের দুর্গতদের অনেকেই খোলা আকাশের নীচে ত্রিপল টাঙিয়ে রয়েছেন। কিন্তু নির্বাচনী বিধি জারি থাকায় প্রশাসনের তরফে ত্রাণশিবির করে দেওয়া হলেও ভেঙে যাওয়া ঘর ফের তৈরি করতে টাকা দিতে পারছে না সরকার। গত কয়েক দিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক নির্বাচনী জনসভায় একথা জানিয়েছেন। বলেছেন, নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি চালু থাকায় তিনি সরকারি ভাবে কোনও ঘোষণা করতে পারবেন না। কিন্তু, আইনি পরিকাঠামোর মধ্যে রাজ্য প্রশাসনের তরফে যাতে দুর্গতদের ঘর তৈরি করে দেওয়া যায়, সে জন্য নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনিক সূত্রে খবর, সেই চিঠির কোনও জবাব এখনও আসেনি। এনিয়ে ‘টানাপড়েনের’ মধ্যেই এই ঘোষণা করে দিলেন অভিষেক।
শুক্রবার জলপাইগুড়ির ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিল তৃণমূলের ১০ জনের প্রতিনিধি দলও। শাসকদল সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের রাজ্য প্রশাসন যাতে সাহায্য করতে পারে, তার বিশেষ অনুমোদনের দাবি নিয়ে গত সোমবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে গিয়ে ‘হেনস্থা’র শিকার হতে হয়েছিল নেতাদের। তাঁরাই শুক্রবার জলপাইগুড়ি যান। সেই দলে ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, দোলা সেন, শান্তনু সেন, সাগরিকা ঘোষ প্রমুখ। তারপরই এই ঘোষণা করেন অভিষেক।
