রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে হঠাৎ করে দিল্লিতে তলব করে নেওয়ার ঘটনা অনভিপ্রেত বলেই মনে করছে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বদলির নির্দেশ দেওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল রাজ্য। এর ওপর ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’-এ তছনছ হয়ে গিয়েছে দুই জেলা। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে অত্যন্ত দক্ষ আমলা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর নির্ভরশীল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজের দক্ষতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। কিন্তু তাঁর মেয়াদকালের সময়সীমা বাড়ানোর পরদিন হঠাৎ করে কেন তাঁকে দিল্লিতে তলব করল কেন্দ্র, তা বোঝা যাচ্ছে না। এর মধ্য দিয়ে রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাত বাড়বেই।
অধীর চৌধুরীর সুরেই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘হঠাৎ করে মুখ্যসচিবের বদলির নির্দেশ দেওয়ার ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। বর্তমান যশ-বিধ্বস্ত রাজ্যের পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের কাছে এই নির্দেশ প্রত্যাহারের আবেদন জানাচ্ছি। যদি এই নির্দেশ প্রত্যাহার না করে করা হয় তাহলে কেন্দ্রের আচরণ গণতান্ত্রিক কাঠামোর উপর আঘাত হানবে বলেই মনে করছি।’
এদিন প্রদেশ সভাপতি ‘যশ’-এর খতিয়ান নিয়ে রিভিউ বৈঠকে বিরোধী দলনেতাকে ডাকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। গুজরাটের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘গুজরাটেও কয়েকদিন আগে ঘূর্ণিঝড় তওকত এসেছিল। প্রধানমন্ত্রী সেখানেও পরিদর্শনে গিয়েছিলেন এবং সেখানকার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে বৈঠক করেন। কিন্তু সেই বৈঠক্ বিরোধী দলনেতাকে ডাকা হয়নি। তাহলে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে কেন আলাদা ব্যবহার?’ প্রধানমন্ত্রী তথা কেন্দ্রের এই ব্যবহার অনুচিত বলেও দাবি জানিয়েছেন প্রদেশ সভাপতি।